‘লক্ষ্মী’ মেয়ে ‘শ্রী’ গিয়েছিলেন পম্পেই নগরে
পরণে লাল শাড়ি, শরীর সেজেছে অসংখ্য অলঙ্কারে, অনুপম
লাবণ্যময় মুখশ্রী, একহাতে সম্পদের ভাণ্ডার অন্যহাতে বরদাত্রী পদ্মের উপর আসীনা এই
দেবীকে বলে দিতে হয় না তিনি কে। তিনি লক্ষ্মী মেয়ে ‘লক্ষ্মী’ দেবী। তার সাথে বা দু’পাশে ঐরাবতও
দেখা যায়, সুরে করে ফুল বা জল ঢেলে দিচ্ছেন দেবীর শিরোপরে। তিনি অনুপমা, স্থিতধী
কিন্তু চঞ্চলা। হাজার হাজার বছর ধরে তিনি মানুষের কল্পনার জগত আচ্ছন্ন করে
রেখেছেন। কারণ, খেটে খাওয়া রামা কৈবর্ত্যই হোন বা ধনাঢ্য আদানী-আম্বানী– সম্পদের
কামনা থেকেই যায়। তাই, একের পর যুগ বদলে যায়, বাণিজ্যের লোভে বিশ্ব যুদ্ধে পৃথিবী
দীর্ণ হয়, কিন্তু ‘বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী’র প্রার্থনায় ভাঁটা পড়ে না।
তার আরেক নাম ‘শ্রী’। ‘লক্ষ্মী’
নামের উল্লেখ বেদ-এ আছে মাত্র একবার। যদিও ভাষার বিচারে অনেকের মতে ঋকবেদে ‘শ্রী’
সুক্ত সংযুক্ত হয়েছে খ্রিস্টাব্দ ১০০০ থেকে ৫০০-র মধ্যে। অর্থ, সম্পদ, প্রাচুর্যের
সঙ্গেই তার সম্পর্ক। ভারতীয় সংস্কৃতিতে নামের আগে শ্রীমান বা শ্রীমতী যুক্ত হয়েছে
সেই একই কামনা থেকে, যাতে তাঁরা ‘শ্রী’ যুক্ত বা ‘শ্রী’ মতি পান। তাঁরা এক বলেই
গণ্য হলেও তৈতেরীয় আরণ্যক থেকে বৌধায়ন ধর্মসূত্র উল্লেখ করে পণ্ডিত অমূল্যচরণ
বিদ্যাভূষণ বলেছেন, এই দুই দেবী পৃথক সত্ত্বা। বস্তুত বেদ, পুরাণ থেকে মহাভারতের
যুগ পর্যন্ত ‘লক্ষ্মী’ আর শ্রী আলাদা স্বত্ত্বা। তা, পুরাণ, উপনিষদে এভাবে বহু
দেবদেবীই নানা চেহারা ভুলে একাত্ম হয়েছেন সময়ের সাথে সাথে।
কিন্তু,
মহাভারতে লক্ষ্মী হলেন রাজা শান্তনুর স্ত্রী, অর্থাৎ ব্যাসের মাতা। বলা হয়েছে,
তিনি ছিলেন অত্যন্ত অহঙ্কারী। সেই কারণে তাঁকে সমুদ্রে নিমজ্জিত করা হয়। তার পরে
সাগরমন্থনে উঠে আসেন লক্ষ্মী। এসেই বিষ্ণুকে দেখে তাঁর কণ্ঠলগ্না হন। ত্রিনি হয়ে
গেলেন বিষ্ণুপ্রিয়া বা বিষ্ণুজায়া অর্থাৎ কমলালয়া। লোকসংস্কৃতির গবেষকরা এই
‘ক্ষীরসাগর মন্থন’-কে রূপকার্থে ব্যবহার করা হয়েছে বলেই মনে করেন। প্রজনন
প্রক্রিয়া এক অর্থে সেই ‘ক্ষীরসাগর মন্থন’।
আমাদের সাধারণ
ভাবনাতেই তিনি হলেন বিষ্ণু বা নারায়ণের স্ত্রী। কিন্তু গোল বাধে দুর্গাপুজোয়।
সেখানে ক্ষিরসাগর মন্থনে জাত লক্ষ্মীকে পাই দুর্গার মেয়ে হিসাবে। তাহলে, মহাদেবকে
হতে হয় লক্ষ্মীর বাবা। কিন্তু, কালিদাসের কুমারসম্ভব-এ উমা-মহেশ্বরের বিয়ের
বর্ণনায় আছে, বিয়ের পর বরাসন থেকে মেয়ে-জামাইকে বাসরঘরে আনা হলে তাঁদের মাথায়
ছত্রধারণ করেন কমলালয়া লক্ষ্মী। সেই বাসরে উমা-মহেশ্বর ও অভ্যাগতদের নৃত্যগীতে
আমোদিত করেন ব্রহ্মবাদিনী সরস্বতী। অর্থাৎ, মা-বাবা উমা-মহেশ্বরের বিয়ের বাসরে
হাজির ছিলেন লক্ষ্মী-সরস্বতী! এ অসম্ভব। পৌরাণিক কাহিনীকে খানিকটা সত্য বলে ধরে
নিলেও বলতে হয়, সেই যুগে ইন্দ্র দেবগণের রাজা হলেও আসল চালিকা শক্তি ছিলেন প্রধান
তিন দেবতা ব্রহ্মা-বিষ্ণু ও মহেশ্বর। তাঁদের মধ্যে ছিল গভীর সখ্যতা। তিনজনই দরকারে
একে অপরের সাহায্য নিতেন। স্বর্গভ্রষ্ট হয়ে ব্রহ্মা বার বার বিষ্ণু বা শিবের
সাহায্য তো নিয়েছেনই। এদের স্ত্রীরা হলেন সরস্বতী, লক্ষ্মী ও দুর্গা। এরা তিন
বান্ধবী হতে পারেন, তিন জায়ের মত।কিন্তু কোনও মতেই কনিষ্ঠজনের স্ত্রীর কন্যা হতে
পারেন না। বাঙালির এই ধারণা সত্য হলে, ভেবে দেখুন, ব্রহ্মা আর বিষ্ণু হবেন শিবের
জামাই!!
বরং, দেখে
নাওয়া যাক, লক্ষ্মী কে? পুরাণে আদিশক্তির রাজসিক-রূপ লক্ষ্মীদেবী হলেন ধনসম্পদের
দেবী। ‘অগ্নিপুরাণ’ মতে লক্ষ্মীদেবী “যজ্ঞবিদ্যা মহাবিদ্যা গুহ্যবিদ্যা চ শোভনা।/
আত্ম্যবিদ্যা চ দেবি বিমুক্তিফলদায়িনী”। অর্থাৎ, তিনিই যজ্ঞবিদ্যা, আত্মবিদ্যা, যাবতীয় গুহ্যবিদ্যা ও মহাবিদ্যা।
বেদের প্রায় সমসাময়িক ‘শতপথ ব্রাহ্মণ’ অনুসারে, জগতবাসীকে সুখাদ্য, পাণীয়, বস্ত্র,
আশ্রয় ও জীবনের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য জরুরি পরিসেবা দিতে স্বয়ং প্রজাপতির মুখ থেকে
জন্ম নেন লক্ষ্মী।
‘দেবীভাগবত’
মতে, তিনি স্বর্গলক্ষ্মী,
রাজলক্ষ্মী, গৃহলক্ষ্মী সর্বমঙ্গলা,
ষড়রিপুবর্জিতা, কৃষির দেবী - ভাদ্র ও পৌষ মাসে যার পুজো হয়।
তিনি সাগরের কন্যা বলে মুক্তা, প্রবাল আদি রত্নের আকর।
‘স্বতন্ত্র তন্ত্রশাস্ত্র’ মতে, কোলাসুরকে বধ করতে লক্ষ্মীর জন্ম হয়েছিল। তৃতীয়
অবতারের পুরাণ ‘বারাহীতন্ত্র’ মতে, পুরাকালে প্রজাপতি ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব লক্ষ্মীদেবীকে পুজো করতেন বলে তাঁর এক নাম ‘ত্রিপুরা’। দাবী করা হয়েছে, সীতা উদ্ধারের জন্য রামচন্দ্র
বা রাজ্য উদ্ধারে রাজা সুরথ দুর্গার পুজো করেন মহালক্ষ্মী রূপে। ‘স্কন্দপুরাণ’-এর
‘আবন্ত্য খণ্ড’ অনুযায়ী, ঋষি ভৃগু ও তাঁর পত্নী খ্যাতির কন্যাই লক্ষ্মী।
নরনারায়ণের বর্ণনা শুনে তাঁকে পতিরূপে পেতে সাগরপাড়ে হাজার বছর তপস্যা করেন।
ইন্দ্র ও অন্য দেবতারা নারায়ণের ছদ্মবেশে লক্ষ্মীকে ছলনা করতে ব্যর্থ হলে নারায়ণ
নিজে আসেন। ‘বিশ্বরূপ’ দর্শণ করিয়ে লক্ষ্মীর সংশয় দূর করেন তবে বিয়ে করার অধিকার
পান স্বয়ং নারায়ণ।
মহাভারতে রাজা
শান্তনুর স্ত্রী লক্ষ্মীর কথা তো বলেইছি। ‘অদ্ভুত রামায়ণ’-এ আছে, বিষ্ণুভক্ত
ব্রাহ্মণ কৌশিকের বাড়িতে এক অনুষ্ঠানে লক্ষ্মী ও তাঁর সহচরীরা ব্রহ্মা ও অন্যান্য
দেবদের তর্জনগর্জন করে অপমান করেন। অপমানিত নারদ ক্ষোভে লক্ষ্মী-সহ সবাইকে
রাক্ষসযোনীতে জন্মের শাপ দেন। পরে শাপগ্রস্ত লক্ষ্মীর প্রার্থনায় সন্তুষ্ট হয়ে
নারদ বর দেন যে, যে রাক্ষসী স্বেচ্ছায় ঋষিদের রক্ত অল্প অল্প করে কলসে সঞ্চয়
করবে, তিনি তাঁর গর্ভে জন্ম নেবেন। তাই সমুদ্রের নিচে এক রাক্ষসীর গর্ভে লক্ষ্মীর
জন্ম। এমন দেবীকে পাওয়া যে সাধারণ ভারতীয়ের মনোজগতে কঠিন, তা বলাই বাহুল্য। বাঙালি
তাই রামায়ণ-মহাভারত-পুরাণ ছুঁড়ে ফেলে আঁকড়ে ধরেছে ‘শ্রীশ্রীলক্ষ্মীদেবীর
ব্রতকথা ও পাঁচালী’। বাঙলার লক্ষ্মী পুরোপুরি লৌকিক দেবী।
লক্ষ্মীর
বিশ্বজনীনতা কিন্তু অস্বীকার করা যাবে না। সুপ্রাচীন প্রতিটি সভ্যতাতেই লক্ষ্মীর
মতো দেবীদের পাওয়া গিয়েছে। ভারতীয় সভ্যতায় হিন্দু ছাড়াও বৌদ্ধ আর জৈনদের কাছে শ্রী
দেবী আছে। বুদ্ধের অনেক পরের জাতকের কাহিনীতে আছে, পুরবাসী নরনারী লক্ষ্মীর কাছে
দুর্ভাগ্যের অধীশ্বর কালকান্নিকে পরাস্ত করার প্রার্থনা জানাচ্ছেন। আছে কুবের এবং
সম্পদের ভাণ্ডার আঁকড়ে থাকা যক্ষ মূর্তিও। জৈন ধর্মগ্রন্থ অনুসারে, এক তীর্থঙ্করের
জন্মের আগে তাঁর মা শ্রীর কাছে প্রার্থণা জানাচ্ছেন সম্পদ ও রাজভাগ্যের। গ্রিকদের
ফসল ও সম্পদের দেবী রয়েছেন ‘কোর’, রোমানদের কাছে তিনিই ডিমিটার। মিশরীয় সভ্যতার
তিনি আইসিস, সুমেরদের কাছে ইন্নানা, ব্যাবিলন সভ্যতায় তিনি ইস্তার বা ইস্টার, পারসিকদের
কাছে অনাহিতা, ভাইকিংদের কাছে ফ্রেইয়া। লক্ষ্মীর সঙ্গে সঙ্গে যে সব উপাদানগুলি
পাওয়া যায়, তাঁর মধ্যে আছে – লক্ষ্মীর ঘট, রত্নসম্ভার, স্বর্ণের বাহুল্য, শষ্যের
ছড়া, শঙ্খ (সাগরের সম্পদ), যক্ষ, রথ, ঘোড়া, হাতি আর কল্পতরু বৃক্ষ।
কিন্তু এমন এক
লক্ষ্মী মূর্তি আবিস্কৃত হয়েছে প্রাচীন রোম সাম্রাজ্যের ধ্বংসপ্রাপ্ত শহর পম্পেই
থেকে। আর, সেই মূর্তি এখন বিশেষ আগ্রহের কারণ হয়েছে নানা কারণে। ৭৯ খ্রিস্টাব্দে
আগ্নেয়গিরি ভিসুভিয়াসের ভয়াবহ অগ্ন্যুতপাতে পম্পেই নামের এই উন্নত বাণিজ্যিক
শহরটাই লাভা স্রোত আর ছাইয়ের নিচে চলে যায়। পম্পেই তাঁর আগে ছিল প্রাচীন রোমের
কর্মচঞ্চল বাণিজ্য শহর। অগ্ন্যুতপাতে শহরের প্রায় সকলেরই প্রাণহানী ঘটে। তারপর
থেকে ১৫২০ বছর পম্পেই ছিল বিস্মৃতিতে। ১৫৯৯ সালে পম্পেই এর প্রথম খোঁজ পান কয়েকজন
অনুসন্ধানী। তাঁরও প্রায় ১৫০ বছর পর, ১৭৪৮-এ, স্প্যানিশ ইঞ্জিনিয়ার রোকা জোয়াকুইন
দে আলকুবিয়েরে পম্পেই এর ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারে বড় মাপের কাজ করেন। তাঁর পরে অনেকেই
প্রত্নসন্ধানে পম্পেইকে বেছে নিয়েছেন, যেমন নিয়েছিলেন আমেদেও মাউইরি। এটি এখন আছে
নেপলসের ন্যাশনাল আর্কিওলজিকাল মিউজিয়ামের ‘সিক্রেট মিউজিয়াম গ্যালারি’ বা গোপন
সংগ্রহ কক্ষে।
ইটালিয়ান
গবেষক ও পণ্ডিত মাউইরি ১৯৩৮ সালে পম্পেই এর সাথে সাথে কাসা দেই কুয়াত্রো-র
ধ্বংসাবশেষ খননের কাজ করেন। তখনই উঠে আসে নজর কাড়া এই নারীমূর্তি। মূর্তিটি
নগ্নিকা, শরীরে বিপুল পরিমানে গহনা। হাতির দাঁতকে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে একটু একটু
করে কুড়ে কুড়ে মূর্তিটি তৈরি করেছেন এর শিল্পী। শরীরি বিভঙ্গ ও গঠনে প্রাচ্যের ছাপ
আছে। ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ১৯০০ বছর পরেও হাতির দাঁতের মূর্তিটি খুব একটা
ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, কিছু অংশ টুকরো হওয়া ছাড়া। সম্ভবত, অগ্ন্যুৎপাতের পর লাভা আর
ছাইয়ের নিচে বাতাস ও জলের স্পর্শ না পাওয়াতেই মূর্তিটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এই
মূর্তিটি মহালক্ষ্মীর বলেই বিশেষজ্ঞদের মত, যেটি আবশ্যিকভাবেই প্রথম শতকে নির্মিত।
মূর্তিটি ভারতের মথুরা এলাকায় নির্মিত বলে মনা করা হচ্ছে। অতদিন আগে কীভাবে সেই
মূর্তি মথুরা থেকে পম্পেই সফর করল, তা অবাক হওয়ার বিষয় বটেই।
মূর্তিটি
আবিস্কারের পরেই সংশ্লিষ্ট মহলে তর্ক ছিল যে, এটি কি গ্রিক দেবী ভেনসের? নাকি
যক্ষিণীর? না লক্ষ্মীর? কেউ কেউ তখনই প্রাচীন ভারতের সঙ্গে গ্রেকো-রোমান
সাম্রাজ্যের সংস্কৃতির আদানপ্রদানের দিকেও ইঙ্গিত করেছিলেন। ধারণা, সম্রাট
অগাস্টিনের সময়ে এই মূর্তি সেখানে পৌঁছায়। অবশেষে সমস্ত ফিচার বিচার করে সকলেই
একমত হন যে, মূর্তিটি লক্ষ্মীরই। কারণ, মূর্তির পায়ের কাছে একটি লিপিই এই
সিদ্ধান্তে আসতে সাহায্য করেছে। সাংকেতিক লিপিটির ভাষা খরোষ্টি, যা ভারতের উত্তর
অংশে প্রচলিত ছিল। তাই এটির নাম দেওয়া হয় ‘লক্ষ্মী পম্পেই’। খরোষ্টি লিপিতে লেখা
ছিল – শি। ইংরাজি ‘she’
নয়, খরোষ্টি, যেটি সংস্কৃত ‘শ্রী’-এর নামান্তর। মূর্তির মাথার
দিক থেকে একটি গর্ত নেমে এসেছে নিচের দিকে। লক্ষ্মীর দু’দিকে দাঁড়িয়ে দুই শিশু
সহকারী, তাকিয়ে আছে দু-পাশে। তাঁদের হাতে প্রসাধনের বাক্স, যদিও কারও কারও মতে,
তাঁদের হাতে আয়না ধরা ছিল। একই রকমের আরেকটি মূর্তি আবিস্কৃত হয়েছিল মহারাষ্টের
ভোকারদান এলাকা থেকে। কিন্তু, ওই শি শব্দটিই প্রমাণ করে, এটি ভারতের উত্তর-পশ্চিম
এলাকা, পাকিস্তান বা আফগানিস্তানে তৈরি।
এই সময়কালে
গান্ধার (কান্দাহার) ও বারগামের হাতির দাঁতের মূর্তিগুলিও এমনই নজির বহন করে।
আরেকটি লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, এই মূর্তির সাথে খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকের ভারহূত,
প্রথম শতকের সাঁচি (৫০-২৫ বিসি) বা খ্রিস্টিয় প্রথম শতকের কার্লে (৫০-৭৫ এডি)
মূর্তিগুলির ভীষণ মিল আছে। কানের কুণ্ডলের সঙ্গে উত্তর ভারতের কৌশাম্বীতে উদ্ধার
হওয়া কর্ণকুণ্ডলের হুবহু মিল গবেষণার বিষয়। এই সময়ে, খ্রিস্টপূর্বাব্দ ৫০ নাগাদ,
সংলগ্ন অঞ্চলে ছিল সাতবাহন সাম্রাজ্য। দু-নম্বর সাঁচি স্তুপ থেকে প্রাপ্ত লক্ষ্মী
মূর্তিতেও দুটি শিশু সহকারী আছে।
এই মূর্তি
আবিস্কৃত হওয়ার পর নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে ভারত-গ্রিস সম্পর্ক প্রসঙ্গে। উত্তর
ভারতে গ্রিকদের সাম্রাজ্য বিস্তারের কিছু তথ্য মেগাস্থিনিকের ‘ইন্ডিকা’-তে ছিল।
সেই গ্রন্থ লুপ্ত হওয়ার পর পম্পেই লক্ষ্মী আবার নতুন করে সেই সম্পর্কে আলোকপাত
শুরু হয়েছে।
No comments:
Post a Comment