Friday, December 14, 2018

কবিতা রঞ্জন চক্রবর্তী





পরিযায়ী পাখি কবিতার ভাষা বলে

শতাব্দী-প্রাচীন স্বপ্নের সৌধ, ভিতর মহলে সুষুপ্তির দেশে চিত্ররূপসী

নরম ঘাসে ঢাকা জমি পদদলিত করে একদিন যেভাবে চলে গিয়েছিলে 
লতা-পাতা ঘেরা নিভৃতপর্ণকুটিরে, আজ সেভাবেই যেও নিঃশব্দ পদসঞ্চারে
যেখানে আছে মাটির স্বর্গ যার সিংহদুয়ার খোলা আছে ঊষালগ্ন থেকে,
যেখানে আগমনের প্রতীক্ষায় বিনিদ্র রজনী কাটায় দিগললনা -
সযত্নে লালিত স্বপ্নগুলো জলরঙে আঁকা, আলো-আঁধারি পথে যেন একা হেঁটে যাওয়া
আদিযুগ থেকে যেভাবে গ্রন্থবদ্ধ হয়েছে ইতিহাস
আখ্যান-উপাখ্যান, কিছুটা কিংবদন্তী এবং কিছুটা সুখ-দুঃখের গল্প নিয়ে
প্রচলিত মহাকাব্যের বিস্তার যেরকম

প্রাচীরে ঘেরা মরুশহরে কিছু কি দেখেছিল ভ্রামণিক
নাকি মরীচিকা?
প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির সীমারেখা ঢেকেছে বালুরাশি
তারই মাঝে মরুদ্যান, যেখানে আছে
 
সুশীতল ছায়াঘেরা বিশ্রামস্থল এবং জলাশয়
নাকি সেও কল্পনাবিলাস?

পাতাছাওয়া কুঁড়েঘরটি ছবির মত, সেখানে সযত্নে রাখা আছে
ইতস্তত বিক্ষিপ্ত স্বপ্নগুলো – আগুনের পাখি ডানা ঝাপটায়
রক্তবাহের মধ্যে প্রবহমান শোণিতের বেগ দ্রুততর হয়
যেন অনুভূতির স্রোত খেলে যায় – বাসনার শিকড়
মনের গভীরে প্রোথিত, ঘরের মধ্যে কোন একটি ঘরে
হে বৈভবী, তুমি পালঙ্কের উপরে শুয়ে চলে গেছ স্বপ্নের সেই দেশে
পলে অনুপলে বিপলেযেখানে পরিযায়ী পাখি কবিতার ভাষা বলে

No comments:

Post a Comment

একনজরে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"যাইতে যাইতে যাইতে, কত দেশ, কত পর্বত, কত নদী, কত রাজার রাজ্য ছাড়াইয়া, রাজপুত্র এক বনের মধ্যে দিয়া উপস্থিত হইলেন “দেখিলেন, বনে...

পছন্দের ক্রম