যীশু
দেওয়ালে সজীব ছবি
গলা থেকে ক্রুশচিহ্ন ঝোলে।
রাত্রিশেষের কুয়াশায়,
খুব অল্প দেখা যায়
একটি মানুষ, সময়ের ক্রুশ
বইছে কাঁধে,
দুহাতে পেরেক বিঁধে দিলে বুঝি
নীরব মানুষও প্রতিধ্বনি হারায়?
ক্ষীণতর শুনেছিলো কেউ,
যতবার তুমি পাপ করে যাবে,
ততবার মাফ করব তোমায়।
কবিতার মত মেয়েটা আর তার স্রষ্টা
(ঋণ: জয় গোস্বামী)
দৈনিক মাথাপিছু ছ'টাকা দরে বিকোয় সকালের কাঁচাঘুম
শরীর বিকোয় ভারী দামে, রাতে
সাজানো গ্রিনরুম
থ্রিলারের মূল্যহীন নৈতিকতার দায়,
একাদশ জাহাজী
ফিরিয়ে নিয়ে যায় সমুদ্রের অতলে।
দুহাতে দরজী
মাপ নেন আমাদের কুঁচকে যাওয়া বুকের;
ঋণভারে নুয়ে আছি
এভাবে শ্মশানবাসী মন ছাই মাখে, কিছু ওড়ায়
পরগাছা জীবনের কাছাকাছি
দুয়েকটা লাভাস্রোতে ঝলসে যাওয়া প্রাণ,
বিগলিত মন,
অস্থির, নদীতীর পোশাক বদলায়, জমাট
মধ্যরাত তখন
তখনও ভোরের 'শেষ তারাটা' আকাশ থেকে
মুছে যায়নি, যদিও
ছেড়ে যাওয়ার স্তব্ধতাটুকু আছে, যে স্তব্ধতায়
রাতটুকু, প্রিয়
কবিতার মত লাগে, যে মেয়েটি অপেক্ষায়
জীর্ণ জানালায়
তার মুখে বিকেলের স্নিগ্ধ আলো এসে পড়ে
দুহাতে জড়াই
সেই দ্বিধাহীন, উদ্দাম, শহরে শেষ পা রাখা
হ্যামলিনের সেই ভদ্রলোক
তার বাঁশির সুরমাখা বিকেলে বরং ইঁদুর
দৌড়ের প্রতিযোগিতা হোক।
ভ্রাম্যমাণ চিন্তারাশি ১
দুরন্ত, বিবশ চোখ, যত দেখি
দূরে কাঁটাতার, ভিজছে নবীন বালক
বিব্রত সময়ে, বাঁশি তার তুলে আনে
হিমযুগ, তুলে আনে
প্রাচীন কুয়োর ভেতরে থাকা
নিঃস্পন্দ শ্যাওলা
আমি থাকি মৃতদেহ সেজে,
মন্ত্রের মত তারা, তোমার
শরীরে ঢেলে দেয় অনুভূতি অ্যাসিড
আমি এক বৃদ্ধের মত,
কুঞ্চিত চামড়ায় মুছে নিই বাস্তবতা।
দর্পন
সামান্য ক্ষত নয় আরো গভীর, নিঃস্পন্দ
আয়াসে দ্বিধাহীন পরিযায়ী মেঘের বিছানায়
নিঃস্ব একটা জাহাজের মত, ভাসছে।
মাস্তুলহীন নাবিক ফেরেনি, ফেরেনা!
রাজ্য তবু অন্য ছিল, অবিভক্ত অনুভূতি
আয়নায়, ছবিরা হয় একা, বোবার আকুতি!(কী শুনতে পাও?)
অ্যাক্রসটিক ও আকুতি
দেবতা, ঈশ্বরীয় বিক্ষেপণ বা নিরাকার
বলে কিছু নেই, একথা বলতে বড় ভয় হয়?
জ্যোতির্ময় আসেনি ঠিকানায় তবু নিরালায়
তিরবিদ্ধ শরসজ্জায়, আমার দ্বৈত চেতনার
সকাতর চিৎকারে, রক্ত উঠে আসে মুখে,
রমণে শমন এসে দাঁড়ায়, শমীবৃক্ষ মৃদু হাসে
কায়মনোবাক্যে আমি তোমায় ডেকেছি হে
রণক্ষেত্র, মহাকাল, রূদ্রপলাশ সঙ্কাশে।
দেওয়ালে সজীব ছবি
গলা থেকে ক্রুশচিহ্ন ঝোলে।
রাত্রিশেষের কুয়াশায়,
খুব অল্প দেখা যায়
একটি মানুষ, সময়ের ক্রুশ
বইছে কাঁধে,
দুহাতে পেরেক বিঁধে দিলে বুঝি
নীরব মানুষও প্রতিধ্বনি হারায়?
ক্ষীণতর শুনেছিলো কেউ,
যতবার তুমি পাপ করে যাবে,
ততবার মাফ করব তোমায়।
কবিতার মত মেয়েটা আর তার স্রষ্টা
(ঋণ: জয় গোস্বামী)
দৈনিক মাথাপিছু ছ'টাকা দরে বিকোয় সকালের কাঁচাঘুম
শরীর বিকোয় ভারী দামে, রাতে
সাজানো গ্রিনরুম
থ্রিলারের মূল্যহীন নৈতিকতার দায়,
একাদশ জাহাজী
ফিরিয়ে নিয়ে যায় সমুদ্রের অতলে।
দুহাতে দরজী
মাপ নেন আমাদের কুঁচকে যাওয়া বুকের;
ঋণভারে নুয়ে আছি
এভাবে শ্মশানবাসী মন ছাই মাখে, কিছু ওড়ায়
পরগাছা জীবনের কাছাকাছি
দুয়েকটা লাভাস্রোতে ঝলসে যাওয়া প্রাণ,
বিগলিত মন,
অস্থির, নদীতীর পোশাক বদলায়, জমাট
মধ্যরাত তখন
তখনও ভোরের 'শেষ তারাটা' আকাশ থেকে
মুছে যায়নি, যদিও
ছেড়ে যাওয়ার স্তব্ধতাটুকু আছে, যে স্তব্ধতায়
রাতটুকু, প্রিয়
কবিতার মত লাগে, যে মেয়েটি অপেক্ষায়
জীর্ণ জানালায়
তার মুখে বিকেলের স্নিগ্ধ আলো এসে পড়ে
দুহাতে জড়াই
সেই দ্বিধাহীন, উদ্দাম, শহরে শেষ পা রাখা
হ্যামলিনের সেই ভদ্রলোক
তার বাঁশির সুরমাখা বিকেলে বরং ইঁদুর
দৌড়ের প্রতিযোগিতা হোক।
ভ্রাম্যমাণ চিন্তারাশি ১
দুরন্ত, বিবশ চোখ, যত দেখি
দূরে কাঁটাতার, ভিজছে নবীন বালক
বিব্রত সময়ে, বাঁশি তার তুলে আনে
হিমযুগ, তুলে আনে
প্রাচীন কুয়োর ভেতরে থাকা
নিঃস্পন্দ শ্যাওলা
আমি থাকি মৃতদেহ সেজে,
মন্ত্রের মত তারা, তোমার
শরীরে ঢেলে দেয় অনুভূতি অ্যাসিড
আমি এক বৃদ্ধের মত,
কুঞ্চিত চামড়ায় মুছে নিই বাস্তবতা।
দর্পন
সামান্য ক্ষত নয় আরো গভীর, নিঃস্পন্দ
আয়াসে দ্বিধাহীন পরিযায়ী মেঘের বিছানায়
নিঃস্ব একটা জাহাজের মত, ভাসছে।
মাস্তুলহীন নাবিক ফেরেনি, ফেরেনা!
রাজ্য তবু অন্য ছিল, অবিভক্ত অনুভূতি
আয়নায়, ছবিরা হয় একা, বোবার আকুতি!(কী শুনতে পাও?)
অ্যাক্রসটিক ও আকুতি
দেবতা, ঈশ্বরীয় বিক্ষেপণ বা নিরাকার
বলে কিছু নেই, একথা বলতে বড় ভয় হয়?
জ্যোতির্ময় আসেনি ঠিকানায় তবু নিরালায়
তিরবিদ্ধ শরসজ্জায়, আমার দ্বৈত চেতনার
সকাতর চিৎকারে, রক্ত উঠে আসে মুখে,
রমণে শমন এসে দাঁড়ায়, শমীবৃক্ষ মৃদু হাসে
কায়মনোবাক্যে আমি তোমায় ডেকেছি হে
রণক্ষেত্র, মহাকাল, রূদ্রপলাশ সঙ্কাশে।
No comments:
Post a Comment