ঈশ্বর
ঠিক ভেঙে পড়ার মুহূর্তে গজিয়ে উঠছে নতুন পাতা
ঠিক আগুন ধরিয়ে দেবার আগে আবার বসছে পাখিরা
ভাসিয়ে দেওয়া হবে তাই পা গুলো গেঁথে আছে ভূগর্ভে
ছিদ্রহীন কুঠুরিতে ঢুকিয়ে দিলেও সূর্য উঠছে রোজ চোরা পথে
ভেসে আসছে তুলো শহর ছুঁয়ে, সন্ধ্যেকে উড়িয়ে দেবার আগেই;
গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন রাতের গলায় পা তুলতে গেলেই সামনে এসে
দাঁড়াচ্ছে ভোর
পাত পেড়ে খাওয়ার সময় উড়ে আসছে ক্লান্তি জল করা বাতাস
বিচ্ছিন্ন হতে গিয়েও মানুষগুলো আটকে পড়ছে থকথকে মিষ্টি
জেলিতে।
“ফিরে এসো” প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে
কাকতাড়ুয়াগুলো..
এত সব দেখতে দেখতে যেতে গিয়ে দেখি
সদ্য জন্মানো ডানা নিয়ে একটা নীল রঙের গ্রহ মাঠে বসে
তাকিয়ে আছে-
ঈশ্বরের
দিকে।
তারা
ঢেউ ফিরিয়ে দেয় সব
জন্ম-জন্মান্তর ছুঁয়ে থাকা সাঁকোয়
রাত উঠে আসে,
ঝুলিতে তার খসে পড়া তারা।
তারপর ঢেলে দেয় সব নীচে বয়ে যাওয়া স্রোতে
তারারা মিশে যায় আবার গভীর কোন নীলে
জীবন্ত হয়ে ফুটে ওঠে ঝিনুকের শরীরে শরীরে।
ঢেউ ফিরিয়ে আনে সব ;
এই ভেবে ছুটে গিয়ে দেখি বালুতট জুড়ে
পড়ে আছে ঝিনুক খোলা শুধু।
পায়ে বড়ো বেঁধে
যন্ত্রণাক্লিষ্ট মুখ তুলে দেখি-
প্রবাহমান তরঙ্গের ওপর নিজেকে মেলে দিয়েছে
মুক্তোহীন আকাশ।
No comments:
Post a Comment