কবিতা এক
আহা জন্ম , ওহো ভালবাসা
শস্যক্ষেত, গোধূলিবিকেল
ধীর পায়ে লোকালয় ভাষা ।
অকৃপণ সে দান , বিস্মিত
সংযোগ, স্রোতের ভেতর
স্রোত , গানের পরিধি জানি
চিরপ্রণম্য হে, বরাভয়
মুদ্রা, অখণ্ড , অগ্নি ও বাণী ।
আহা জন্ম, ওহো আয়ু , নীড়
সন্ধানী প্রাণ, ওষধি , সেবা
প্রসাধনী, সুগন্ধ, অতীত
জারিত শ্লোক, জন্ম জন্ম
হে অন্ন হে শুচি হে শুশ্রূষা
হে অসিম অপূর্ব অপার
কবিতা দুই
সব পথই ফেরার ,
সব জলই হাঁসেদের ঘরবাড়ি
যেভাবে নৌকো আর খেয়াঘাট,
যেভাবে ভাষা আর সঙ্গীত ,
হাত ধরাধরি করে!
কথায় কথায় পার হয়ে যাওয়া রাত,
নীহারিকা ,উল্কাপাত খসে পড়া তারার
চকিতে প্রার্থনা ,
পুনরায় পুরনো পথের পাশে শান্ত অপেক্ষা,
ঢিল বাঁধা মানতের মতো ,
দেবতার পায়ে লাল ফুল,
রক্তচন্দন , সুগন্ধী, শালু ,
সন্ন্যাসী অথবা পীর,
জন্নত অথবা জাহান্নাম ,
বেদনার অতিক্রান্ত মুঠোহাত
ছুঁয়ে ছুঁয়ে থাকা শ্রাবণ,
'আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ '
শস্যক্ষেত, তরুণ -তরুণী আলোর
সংকেত , স্মিত হাত আর পোহানো আগুন
উৎসব দিন , ঝলমলে রোদ,
আলোকবর্ষ , লবণের ঋণ
জীবনের গান, গাছজন্মের
জীবন সমান , আঁধার পেরিয়ে, দিগন্তভোর
সব পথই ফেরার,
সব ছাদই তোমার আমার
যেভাবে অরণ্য আর ছায়া
মায়া আর ভালবাসাবাসি
পাশাপাশি চলে!
সব জলই হাঁসেদের ঘরবাড়ি
যেভাবে নৌকো আর খেয়াঘাট,
যেভাবে ভাষা আর সঙ্গীত ,
হাত ধরাধরি করে!
কথায় কথায় পার হয়ে যাওয়া রাত,
নীহারিকা ,উল্কাপাত খসে পড়া তারার
চকিতে প্রার্থনা ,
পুনরায় পুরনো পথের পাশে শান্ত অপেক্ষা,
ঢিল বাঁধা মানতের মতো ,
দেবতার পায়ে লাল ফুল,
রক্তচন্দন , সুগন্ধী, শালু ,
সন্ন্যাসী অথবা পীর,
জন্নত অথবা জাহান্নাম ,
বেদনার অতিক্রান্ত মুঠোহাত
ছুঁয়ে ছুঁয়ে থাকা শ্রাবণ,
'আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ '
শস্যক্ষেত, তরুণ -তরুণী আলোর
সংকেত , স্মিত হাত আর পোহানো আগুন
উৎসব দিন , ঝলমলে রোদ,
আলোকবর্ষ , লবণের ঋণ
জীবনের গান, গাছজন্মের
জীবন সমান , আঁধার পেরিয়ে, দিগন্তভোর
সব পথই ফেরার,
সব ছাদই তোমার আমার
যেভাবে অরণ্য আর ছায়া
মায়া আর ভালবাসাবাসি
পাশাপাশি চলে!
কবিতা তিন
হে জীবন হে অভ্যেস, এসো ,
এসো এসো হে সন্ধ্যা সঙ্গীত
হে দ্রুত, হে বিলম্বিত এসো,
এসো অনির্বাণ হে অহর্নিশ।
হে বিপন্ন প্রজাপতি ভোর
হে , প্রলাপ, বিষাদ সিন্ধু হে
সঙ্কট , হে দিগন্তচিল, ঘোর
হে , বিলাপ, প্রার্থনা হে।
এসো স্থিতধী হে আশ্চর্য
খেলাঘর হে ,রাত্রি পারাপার
ভ্রমণ কাহিনী, এসো ভাস্বর
কোমলকান্তি , হে ঈশ্বর ।
যাও হে মৃত্যু, যাও হে দ্বন্দ্ব
যাও হিম , যাও তুমুল তর্ক
যাবতীয় ,যাক বিপ্রতীপের
আড়ালে যাক হে ছন্দ পতন
ভেঙে যাওয়া হাল , যাক ভুল
যাক ছিন্ন গন্ধ, ছায়াজন্মের
গল্পের মতো, পুরনো আয়ুর
প্রাচীন শরীরে, যে সুর টানে
ভাসছে আলো, অন্নপূর্ণা
ভাসছে জগৎ ঘন ঘুম-ঘোর
স্বপ্ন গভীরে হিম জ্যোৎস্নার
গভীরতা প্রিয় যত শব্দ -
সরল সহজ রাস্তার পাশে
কার ধুলিছাপ সূর্য মুখর
আর মধুমন , বড় ভালবাসে
জন্ম জন্ম আয়ু প্রান্তর-
নমো ধীর নমো ,নম চন্ঞ্চল,
নমো হে চক্ষু, নমো প্রতীক্ষা
নমো হে হৃদয়, নমো হে সজল ।
চরণচিহ্ন ,নমো বরাভয় ।
এসো এসো হে সন্ধ্যা সঙ্গীত
হে দ্রুত, হে বিলম্বিত এসো,
এসো অনির্বাণ হে অহর্নিশ।
হে বিপন্ন প্রজাপতি ভোর
হে , প্রলাপ, বিষাদ সিন্ধু হে
সঙ্কট , হে দিগন্তচিল, ঘোর
হে , বিলাপ, প্রার্থনা হে।
এসো স্থিতধী হে আশ্চর্য
খেলাঘর হে ,রাত্রি পারাপার
ভ্রমণ কাহিনী, এসো ভাস্বর
কোমলকান্তি , হে ঈশ্বর ।
যাও হে মৃত্যু, যাও হে দ্বন্দ্ব
যাও হিম , যাও তুমুল তর্ক
যাবতীয় ,যাক বিপ্রতীপের
আড়ালে যাক হে ছন্দ পতন
ভেঙে যাওয়া হাল , যাক ভুল
যাক ছিন্ন গন্ধ, ছায়াজন্মের
গল্পের মতো, পুরনো আয়ুর
প্রাচীন শরীরে, যে সুর টানে
ভাসছে আলো, অন্নপূর্ণা
ভাসছে জগৎ ঘন ঘুম-ঘোর
স্বপ্ন গভীরে হিম জ্যোৎস্নার
গভীরতা প্রিয় যত শব্দ -
সরল সহজ রাস্তার পাশে
কার ধুলিছাপ সূর্য মুখর
আর মধুমন , বড় ভালবাসে
জন্ম জন্ম আয়ু প্রান্তর-
নমো ধীর নমো ,নম চন্ঞ্চল,
নমো হে চক্ষু, নমো প্রতীক্ষা
নমো হে হৃদয়, নমো হে সজল ।
চরণচিহ্ন ,নমো বরাভয় ।
কবিতা চার
অসুখদিন তোমার'ই নাম পার্কস্ট্রীট ।
বুড়ির চুল সাজবে যার সহজ পথ,
যেখানটায় মাতবে খুব শহর-দিন ।
অসুখদিন তোমার নাম 'যীশু দিবস'।
অবান্তর কথার জাল বুনছে রাত
তুলছে ঢেউ কোথায় ঐ দূরের গান
শীতের দিন পাতার ঝড় শূন্য গাছ
অসুখদিন তোমার নাম 'অকস্মাৎ'-
তারার ঘর অনেক দূর আকাশপথ
ভাঙছে বুক নিঃস্ব স্বর ডাকছে নাম
দুঃখী প্রাণ বাঁধছে ফের অতঃপর -
অসুখদিন আজ তোমায় ছুটি দিলাম।
কমলারঙ শীত দুপুর মনখারাপ
একলা পথ ধরছে হাত ছু-মন্তর
সান্টাক্লজ হাসছে ওই দুঃখ দূর
অসুখদিন যাও দেখি তেপান্তর
ওষুধময় রাত্রিদিন আরোগ্যের
মুক্তি কোন দূর সুদূর আকাশদীপ
নিবছে , প্রাণ যায় ভেসে তবুও সেই
জানো কি না 'মেধা' রঙের মৃত্যু নেই ।
বুড়ির চুল সাজবে যার সহজ পথ,
যেখানটায় মাতবে খুব শহর-দিন ।
অসুখদিন তোমার নাম 'যীশু দিবস'।
অবান্তর কথার জাল বুনছে রাত
তুলছে ঢেউ কোথায় ঐ দূরের গান
শীতের দিন পাতার ঝড় শূন্য গাছ
অসুখদিন তোমার নাম 'অকস্মাৎ'-
তারার ঘর অনেক দূর আকাশপথ
ভাঙছে বুক নিঃস্ব স্বর ডাকছে নাম
দুঃখী প্রাণ বাঁধছে ফের অতঃপর -
অসুখদিন আজ তোমায় ছুটি দিলাম।
কমলারঙ শীত দুপুর মনখারাপ
একলা পথ ধরছে হাত ছু-মন্তর
সান্টাক্লজ হাসছে ওই দুঃখ দূর
অসুখদিন যাও দেখি তেপান্তর
ওষুধময় রাত্রিদিন আরোগ্যের
মুক্তি কোন দূর সুদূর আকাশদীপ
নিবছে , প্রাণ যায় ভেসে তবুও সেই
জানো কি না 'মেধা' রঙের মৃত্যু নেই ।
কবিতা পাঁচ
গুপ্তধন চাইনা শুধু পুনর্জন্ম চাই।
আগুন এবং লবণের মাঝে
জেগে থাকা হলুদ ফাল্গুন
পাহাড় চূড়ার পাকদণ্ডী রাস্তায়
অপ্রচলিত গানের সুর, বহুদূর
হাসি ছড়ানো জলপাই বিকেল ,
কুড়িয়ে পাওয়া মনিমুক্ত চাই ।
আগুন এবং লবণের মাঝে
জেগে থাকা হলুদ ফাল্গুন
পাহাড় চূড়ার পাকদণ্ডী রাস্তায়
অপ্রচলিত গানের সুর, বহুদূর
হাসি ছড়ানো জলপাই বিকেল ,
কুড়িয়ে পাওয়া মনিমুক্ত চাই ।
এখনো মাঝে মাঝেই হঠাত
চলকে ওঠা রেডিও স্টেশন
উঁকি দিচ্ছে আনাচ কানাচ,
জানান দিচ্ছে হারিয়ে যাওয়া
দিনের মতো, চিরতরুণ রঙের
চিঠি, আকাশ প্রদীপ, জন্ম
তারিখ মনে পড়ার প্রিয়- তিথি।
উৎসব রাত বাজি পোড়া
হাওয়ার পাক, কখন যেন
লাফিয়ে উঠলো দিগন্ত দিক ,
সেসব মেঘ সেসব বৃষ্টি
আকস্মিক, যেখানে যাক জাহান্নামে ,
চাইনা আর। চাইনা আর ।
ফুরিয়ে যাওয়া গানের দিন
আবার ঢেউ । জাগবে প্রাণ
বন্ধ ঘর , খুলবে তার
পুনর্জন্ম চাই শুধু । গুপ্তধন
চাইনা আর । চাইনা আর ।
No comments:
Post a Comment