ইড
প্রতিটি শহরের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকে আরেকটি ছায়ার শহর
শহর ও ছায়ার মাঝে যে অদৃশ্য সেতু বিভাজিকার কোমরবন্ধ
হয়ে জেগে থাকে তাই আসলে আমাদের ভূত ও ভবিষ্যৎ
জন্মদাগ, মায়ার আগল খুলে বসে থাকা প্রতিটি রাস্তার পাশেই
তো
এ পাখিজন্ম স্নান করেছিল মুহূর্ত ভাঙা আলোয়
একটা দুলতে থাকা সেতুর কাছে কতখানি বিশ্বাস নামিয়ে আসা
যায় বলো!
নীচে বয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার শূন্যতার রক্ত
তার উপর দিয়ে হেঁটে চলেছি আমরা একা
দুলে উঠছে সেতু
একটা সেতু দুলে উঠছে
আর কেঁপে কেঁপে উঠছে একটা জন্ম একটা মৃত্যু
পায়ের নীচের সমস্ত নাচঘর...
ইগো
কার গায়ে রক্ত আছে রাজার
কার গায়ে শ্রমিকের
কুচি কুচি কুরচি ফুটে আছে শাণিত বিকেলে
ধোঁয়ার রোঁয়া ফেটে আলগা নকশা
হু হু শোক ও বাসনা
ক্রমশ বড় হয়, ফেটে যায় বীজ
সেখান থেকে পরিব্রাজকের শেষ জার্নির মতো
খুলে যায় সমূহ প্রবঞ্চনা
লিয়ারের সাথে ফুকো, ফুকোর সাথে স্পিভাক সন্ধি আঁটছেন
খুঁজে দেখছেন কার রক্তে কত দামি কণিকা রেখেছেন ঈশ্বর
ওদিকে ক্রমশ বয়স বাড়ছে শহরের তবু মায়া কমছে না তার!
সুপারইগো
শুনি শুধু বুকের কাছে নীরবে তলিয়ে যাওয়া আকুল চিৎকার
যেন এক সীমাহীন গাছের শেষ শিকড়খানি ডুবে গেল অন্ধকারে
আমাকে রক্ষা করো, আমাকে আড়াল করো
খুলে দাও এ চিৎকারধ্বনির ভারী শিকলগুলি
আমার পায়ের কাছে লুটিয়ে পড়ুক রোদ
সোনাঝুড়ির সংলাপ আর
দ্রাঘিমা ভেঙে ফুটে ওঠা মাধবীলতা
একটা অসহায় ক্ষোভ কেমন তাকিয়ে আছে শূন্যে
যেন কত কী করার ছিল, যেন কত যুঝে নেওয়া বাকি
তবু তো সেও শীতল ও নিরুদ্যম হয়ে আছে আসামীর মতো
আমি শুধু এসব দৃশ্যের চত্বরে হাহাকার খুঁজে নিজস্ব ডেরায় ফিরে আসি!
No comments:
Post a Comment