ভাগ্য
আমি কি লিখব পুনরায় বেঁচে ওঠার কবিতা?
না তোমার মাঝবুকবরাবর
বয়ে সোজা নিচে নেমে যাব?
লবণাক্ত হ্রদের কিনারে থাকা নুড়ি
একদিন ভেঙে যাবে
তার আগে ক্ষুধার্ত পিঁপড়ে
পেয়ে যাবে মিছরির দানা।
শিল্পবোধ
আমাকে বৃক্ষের শিল্পবোধ দাও এই
পর্যাপ্ত এপ্রিলে
দুপুর বেলায়
যখন চিন্তায় ঘুঘু পাখি নেমে আসে।
যদিও স্টেশন ফাঁকা,শেডের তলায়
এই কেউ ছিল,এই নেই;
শুয়ে থাকা নরম ছায়ায়
দেবদারু লেখার প্রতীক।
আমাকে এবার শিল্প বোধের ভিতরে
মেরে ফেলে দাও,
দেহ দিয়ে দাও
মন দিয়ে দাও পুরো মেরে।
নিজেকে বোরিং লাগে,এই
ঘড়ির ছায়ায়
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে...
থম মেরে গেছে পদদ্বয়!
ব্যাকারণ জ্ঞানহীন যেটুকু ভাবনা
ছিল তাও প্রজাপতির ছায়ার মতো
হঠাৎ মিলিয়ে যেতে পারে
অনিশ্চয়তায় এবং অনিশ্চয়তায়
পুরোনো গাছের মতো
পাতাহীন দুপুরের রোদ
আমাকে নতুন করে ভাবতে শেখায়,
অথচ যে ঘড়ি আর নেই তার
কাঁটা পিছু ছাড়েনি এখনও;
আজও তাড়া করে ফেরে
কিছু কিছু গূঢ় সত্যি,
সেই সব না জানাই ভালো।
জোনাকি পুরুষ
এতো ফাঁকি দিতে দিতে
একটা সময় দেখি নিজে
ফাঁকা ফাঁকা হয়ে গেছি।
শীতকাল আসলে শিয়রে
জোনাকি একটু বেশি তরঙ্গ ছড়ায়
ঝোঁপে, ঝোঁপের ওপাশে
কেউ কি দাঁড়ালো এসে ঠায়!
ঘোরের ভিতরে
ভারি হয়ে আসা চোখ জানে
নিশাচর পাখি তার শেষ ডাক ডেকে
ঢুকিয়েছে কোটরে শরীর,,,
দিগন্তকে ছুঁয়ে জেগে থাকা
দু-তিনটে বৈদ্যুতিক আলো বুজুবুজু
বুজে যায়,তবু জোনাকিরা
জ্বলে নেভে,জ্বলে নেভে সারাদিন
ফাঁকিবাজ প্রেমিকের মতো।
No comments:
Post a Comment