হেমন্তজাতক
শীতের দুপুরে এই
ক্ষণস্থায়ী কোলাহল গুলি
বারবার ফিরে আসে, কয়েকটি
তিক্ত মুখ দেখি
পূর্ণগ্রাসে খেলা করে,
শুনতে পাই পতনের ধ্বনি
এ’ সংকেত ব্রহ্ম, তবু মিশে
গেছে ধুলো চোখ ঘেঁটে
ভিতরে ও বাইরে আমি সে সহজ
নিয়ে মেতে আছি
শনির জাতক, যেন প্রতিযোগিহীন
যমদূত
তুমি তার কোন বুক ছুঁয়ে
তাকে দেবে ভালবাসা,
অবেলার শান্তমন, স্থির
প্রজ্ঞাময় নশ্বরতা !
তবে কি হেতুর দোষে রোজ এই
খুবলে খুবলে মরা
ধোয়ার ভিতরে ভাসি- দেখি
কারো দোষ নেই আজও
ভালবাসা লুঠে নিচ্ছি, মেখে
নিচ্ছি কাঙাল শরীর,
প্রহরের অলিগলি, শুধু এক জ্বরের
সহায়
চামড়া গুলি খসে পড়ে, খুলে
যায় অজস্র জানালা
সূর্য ঢোকে, সূর্য ডোবে,
রাত্রি ঢোকে- রাত্রি ডুবে যায়
রাশিফল
মুঠিতে অজানা রোদ, শুক্র
তবু দীর্ঘ করতলে
যমের সংসারে আছি তবু এক
জ্যোৎস্নার পালক
সারাদিন হাওয়া দেয়, খুঁজে
দেখি তোমার বল্কলে
কী ওই ক্ষতির চিহ্নে ভরে
আছে আমার আলোক
চমকের তন্ত্র তাই ধরা পড়ে
অধিক সহজে
কামড়ে পড়ে থাকে কোনও
দ্রুতগামী একগুঁয়ে ষাঁড়
তবু তুমি ছুটে আসো
কৃষ্ণকালো ময়ূরের খোঁজে
ধীরে ধীরে উবে যায় বাকি সব
রেখা, আবদার
ধনুকও তখন শুধু ব্রহ্ম
খোঁজে সরল রেখায়
তুমি কি আমাকে খোঁজো- ভোর থেকে
ভোরের ভিতর
জানলা ভেঙে রোদ আসে
,বহুদূর দেখা যায় পাহাড় চূড়ায়
কোনও এক সন্ন্যাসিনী
বছরান্তে সাজিয়েছে ঘর
বাচস্পতি চূড়া ভেঙে একসাথে
উঠে যাই শেষে
মুঠো ভেঙে শুক্র, রবি একে
একে চলে যায় হেসে
No comments:
Post a Comment