Saturday, December 15, 2018

কবিতা- ওয়াসিম জাভেদ





আস্তানা

ছায়াদের হাতে হাতে ফিরে গেছি সন্ধে বাজারে,
কোথায় এসেছি এই, চেনা নয়, অচেনাও নয় ততখানি।
রোদের প্রতাপ বেড়ে, বেতাবই জমেছে দিন স্তূপের মতন, একা
সন্ধে নামার সাথে ব্যসার্ধ কমে আসে বুকে।
যেমন পাখির প্রাণ শ্বাস খোঁজে ঝঞ্জা কবলে,
জানো না, অদম্য টানে সেরকমই খুঁজেছি তোমায়...



কার অপেক্ষা

আরো ঘন নিদ্রা অতলে
ক্ষয়িষ্ণু বটের মতো
অরণ্য শ্রান্ত করে চলে যাই
পড়ে থাক প্রশাখের পাতা, ভাস্বর প্রতিলিপি
ভূগর্ভে, অতলে, শুষে নিই সঞ্জীব প্রাণ,
মুখে নিই আদ্র বাষ্প, হিম
অপেক্ষা ঘনীভূত হয় তন্ত্রের বাতাবকাশে.
ধীরে ধীরে খুলে যাবে পাতা,
ঝরে যাবে স্তম্ভমূলের সারি
অরণ্য, অরণ্য বলো,
এখানে কোন গাছ ছিলো?
তার ছিলো কার অপেক্ষা



#

অশান্ত বুকের কাছে জমে আছে শত আলোড়ন,
মাটিতে পেতেছি দেহ ভরহীন, দেবতার ডাকে
ভালো আছি এই বোধে ভরে আছে পাখির কুজন,
অর্ধশায়িত এই ভোর আর বাগিচায় দাদুরী জীবন




শঙ্খচিল

কত তীব্র এ আলোয় ঘিরে থাকা...
আমি তো আমার থেকে আলাদা করিনি শরীরীকে,
রোদের প্রাদুর্ভাব, গমকে জ্বলেছে স্বরলিপি,
বেঁচে আছি, শুধু এই মোহে বেঁচে থাকা।

চলতো ঘুরে আসি পরিযায়ী পাখিরা যেমন
নিয়ত বসতি ছেড়ে,
স্থান-কাল-বন্দর, ম্লান- কূল-উপকূল…
ওই যে পর্বত শিখর ছুঁয়ে, অতন্দ্র সমুদ্র পার করে
আমাদের মুখে মুখে শ্বেতবিন্দু , অধিকন্ত ভেসে যাই স্বচ্ছ বাতাসে।
অনন্ত, ভবঘুরে মেঘ জুড়ে থাকা…
বেঁচে আছি, শুধু এই মোহে বেঁচে থাকা।

No comments:

Post a Comment

একনজরে

সম্পাদকীয়-র পরিবর্তে

"যাইতে যাইতে যাইতে, কত দেশ, কত পর্বত, কত নদী, কত রাজার রাজ্য ছাড়াইয়া, রাজপুত্র এক বনের মধ্যে দিয়া উপস্থিত হইলেন “দেখিলেন, বনে...

পছন্দের ক্রম